ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ইউজিসি-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দের অর্থ ব্যয়ে জবাবদিহি থাকতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
ইউজিসি-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দের অর্থ ব্যয়ে জবাবদিহি থাকতে হবে

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বতন্ত্র আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যমান আর্থিক অনুশাসন অনুসরণ করে এসব প্রতিষ্ঠানে অর্থ বরাদ্দ এবং অর্থ ছাড় পদ্ধতি চলমান থাকা বাঞ্ছনীয়।

 

তবে বরাদ্দের অর্থ ব্যয়ে অবশ্যই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পিএল অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়ন- শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর এসব কথা বলেন।

স্মার্ট অর্থ-ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ইউজিসি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস প্লাস প্লাস প্রোগ্রাম বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) যৌথভাবে ইউজিসি অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক ও ইউজিসির বিভাগীয় প্রধানরা অংশ নেন।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব নূর-ই-আলম বক্তব্য দেন।  

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএল (পারসোনাল লেজার) অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়নের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব এবং আইবাস প্লাস প্লাস প্রোগ্রামের সিনিয়র কনসালটেন্ট আবুল বাশার মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখভালের জন্য ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেন। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ন হলে দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অগ্রগতির ধারা ব্যাহত হবে। তাই যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের মূল চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক কি না এবং এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো যথাযথভাবে যাচাই করা বাঞ্ছনীয়।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বতন্ত্র আইন দিয়ে পরিচালিত হয়। অর্থ ব্যয়ে কোনো গেটওয়ে বা ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুসরণের পরামর্শ দেন তিনি।

কর্মশালায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও হিসাব বিভাগের পরিচালকরা বক্তব্য দেন।

সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএল (পার্সোনাল লেজার) অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়নের বিষয়টি আরও পর্যালোচনার জন্য ইউজিসির নেতৃত্বে একটি কমিটি করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। কমিটির সুপারিশক্রমে পিএল অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়ন বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।