ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবির আবাসিক হলে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধে লিখিত অভিযোগ

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
ইবির আবাসিক হলে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধে লিখিত অভিযোগ

ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে প্রতিনিয়ত উচ্চশব্দে গান-বাজনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যরাতে হলের ছাদে গান-বাজনা করা হয়।

এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ নানা সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।  

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে এ অভিযোগ দেন তারা।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইবির ছেলেদের হলগুলোতে প্রতিনিয়ত গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চশব্দে গান বাজানো হয়। একাধিকবার নিষেধ করার পরেও বন্ধ হচ্ছে না এ গান। উচ্চশব্দে মাইক বাজানোর ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরও কোন সুরাহা মেলেনি।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনুমতি সাপেক্ষে কিংবা অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চশব্দে গান-বাজনা করেন অনেকেই। এতে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ পান না শিক্ষার্থীরা। এমনকি তারা পরীক্ষার আগের রাতে ঠিক মতো ঘুমাতেও পারেন না। গানের উচ্চশব্দে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অনেক ডিপার্টমেন্টে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। কিন্তু হলে উচ্চশব্দে গান বাজানোর ফলে আমরা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না। এমনকি আমরা ঘুমাতেও পারছি না। আমাদের হলগুলো যেন পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে।  

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই ইবিতে সাংস্কৃতিক চর্চা হোক। কিন্তু তা হতে হবে পড়াশোনা ঠিক রেখে। কিন্তু আমাদের আবাসিক হলগুলোতে প্রায় প্রতি রাতেই উচ্চশব্দে গান বাজানো হচ্ছে। এতে পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। যারা চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এই গান-বাজনা তাদের পড়াশোনার গতিকে ত্বরান্বিত করছে।

এদিকে উচ্চশব্দে গান বাজানোর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক শিক্ষার্থী।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের গত মিটিংয়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করা হয়নি। সামনের মিটিংয়ে এটা নিয়ে আলোচনা করব। তবে শেখ রাসেল হলে অভিযোগ এসেছিল, আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়েছি।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, আমি এটা একাডেমিক শাখায় পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা নোট দেবে, পরে ভিসি স্যার ব্যবস্থা নেবেন।  

এর আগে একই বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।