ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের পেছনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় দুহন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হল শাখা ও মাস্টার দা সূর্যসেন হল শাখার মধ্যে মারামারির এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধুর ক্যান্টিনে দরজার পাশে ইনানের পেছনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ঘটনার নিষ্পত্তি করে দিলেও পরে আবার সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ।
এ ঘটনায় সূর্যসেন হলের উপদপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া হলের কর্মী ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান শান্তও আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ইনানের অনুসারী সূর্যসেন হল শাখার একাধিক কর্মী বলেন, আমরা প্রথমে গিয়ে দরজার পাশে দাঁড়াই। বিজয় একাত্তর হলের গ্রুপ পরে আসে এবং আমাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। কেন্দ্রীয় নেতারা ঘটনার মিলমিশ করে দেন। পরে একাত্তরের কয়েকজন হলে গিয়ে স্ট্যাম্প, রড, হকিস্টিক নিয়ে এসে কামরুল হাসানের ওপর হামলা করে এবং তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। তাদের হামলা আটকাতে গেলে সাইদুর রহমান শান্তকেও তারা মারধর করে।
বিজয় একাত্তর হলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপসম্পাদক ফিরোজ আলম অপি, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপসম্পাদক মাশফিউর রহমান, বিজয় একাত্তর হলের এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী নিঝুম ইফতেখার, কর্মী ফজলে নাভিদ অনন মারামারিতে নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
ফজলে নাভিদ অননের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মারামারিতে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। বলেন, প্রোগ্রাম থেকে আগেই আমি ক্লাসের উদ্দেশ্যে চলে এসেছি। পরে ঘটনাটি শুনেছি। এর সাথে আমার কোনো সংযোগ নেই।
বিজয় একাত্তর হলের শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী গ্রুপের পদপ্রত্যাশী সাদিক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ইনান ভাইকে সালাম দিতে গেলে সূর্যসেন হলের কর্মীদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে তারা চতুর্থ বর্ষের মাশফিউরকে আহত করে। তবুও আমরা নিজেদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখে বাইরে চলে যাই। কিন্তু সূর্যসেন হলের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হাসি-ঠাট্টা করে। তখন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে যায়। এটি পূর্বপরিকল্পিত কোনো বিষয় নয়।
একই হলের আরেক পদপ্রত্যাশী সাবাত আল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এটা তেমন কোনো গুরুতর ঘটনা নয়৷ দুপক্ষের কথা কাটাকাটি থেকে একটু মারামারি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমরা নিজেদের মধ্যে কথ বলে মিলমিশ করে নিয়েছি। মারামারির পর আমরা তাদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছি।
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
এমজে