ঢাকা: দেশের খুব কম শিক্ষকই শিক্ষার্থীর নিজস্ব প্রয়োজন ও সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে পাঠদান করছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘স্কুলস নাও! ২০২৪’ সম্মেলনে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস ‘টিচার ইফেক্টিভনেস’ শীর্ষক একটি গবেষণাপত্রের ফলাফল প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, শিক্ষকদের মান উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফিডব্যাক নিয়ে কাজ করতে পারে। ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লেসন-ভিত্তিক মানদণ্ড নির্ধারণ করতে পারে।
ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, বাংলাদেশে আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন। মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার ব্যর্থতার পেছনে অনেক স্কুল প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ শিক্ষকের অভাব কারণ হিসেবে উল্লেখ করে। আমার এ গবেষণার ফলাফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দক্ষ শিক্ষক তৈরি এবং পাঠদানের গুণগত মান বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশি স্কুল থেকে একমাত্র শিক্ষাবিদ হিসেবে সম্মেলনটিতে নিজের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করার সুযোগ পান ড. শিবানন্দ। শিক্ষাক্ষেত্রে সেরা অনুশীলন এবং এ সংশ্লিষ্ট সম্যক জ্ঞান (ইনসাইট) একে অন্যের সঙ্গে আদান-প্রদান লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গবেষণায় উঠে আসে, খুব কম শিক্ষক কাস্টমাইজড শিক্ষণ-শেখানো পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, এর ফলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব প্রয়োজন গুরুত্ব পায় না এবং শিক্ষার্থীর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এ সমস্যার সমাধানে ‘লার্নিং ডিফারেন্সিয়েশন’ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন ড. শিবানন্দ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষকদের উন্নয়নে মূল্যায়নের বিভিন্ন মানদণ্ড নির্ধারণ করে কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ড. শিবানন্দ বলেন, তার সহকর্মীদের মধ্যে অনেকেই এই মানদণ্ডে ৫ এর মধ্যে ৪.৫ পেয়েছেন (পাঠদান দক্ষতা) এবং এই দক্ষ শিক্ষকরা অন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যোগ্য।
কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে ১২তম গ্রেডের শিক্ষকদের নিয়ে এ গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত করা হয়। ২০২০ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া এ গবেষণার জন্য প্রায় ২৫০০ ক্লাসের (লেসন) তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৪
এমআইএইচ/আরআইএস