ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ কে বরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে মঙ্গল শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) অনুষদের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও শিল্পী হাশেম খান সূর্য ও দুটি পাখির চিত্রাঙ্কনের মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এ সময় শিল্পী জামাল আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নেসার হোসেনসহ অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর কবি জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে আমরা তো তিমিরবিনাশী বাক্যটিকে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শিল্পী হাশেম খান বলেন, চারুকলা অনুষদে বৈশাখ উদযাপন আমরা পাকিস্তান আমলে শুরু করেছিলাম। সে সময় একটি প্রেক্ষাপট ছিল। পাকিস্তান একটি জগাখিচুড়ি সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার প্রতিবাদে বাংলা সংস্কৃতিকে সবার সামনে নিয়ে আসতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন শুরু করি।
সূর্য ও পাখির চিত্র আঁকার পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা সংবাদ করতে আসেন, তারা ব্যাখ্যা করবেন। আমি তো আমার কাজ শেষ করেছি।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, আমরা এ যাবৎ অনেকের বাণীই তুলে ধরেছি। তবে আমাদের সাহিত্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কবি জীবনানন্দের কোনো পঙক্তি সামনে আনিনি। তাই এবার কবির তিমির হননের গান কবিতার একটি লাইন আমরা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি। এটি তরুণ প্রজন্মের মুখে উচ্চারিত হবে।
তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় আমরা লোকজ সংস্কৃতি উপাদানগুলোর সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করাই। ফলে কোনো একটা মোটিফকে হয়তো একটু পরিবর্তন করে প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
আরবি