ঢাকা: অবকাঠামোগত বিনিয়োগে রাস টেনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপরে এই মুহূর্তে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হবে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনসিটিটিউটে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় মন্ত্রী একথা বলেন।
শিক্ষায় বিনিয়োগ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের উপর বিনিয়োগ বাড়ছে। যেহেতু অনেক ধরনের অবকাঠামোগত কাজ প্রায় শেষ হয়েছে অনেক জায়গায়, অবকাঠামোগত বিনিয়োগ আমাদের অনেক হয়েছে ইতোমধ্যে হয়েছে। সেগুলোতে কিছুটা রাস টেনে এনে আমরা মনে করি শিক্ষকের ওপরে এই মুহূর্তে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা এখনও দেখি প্রশাসনিক ভবনের জন্য অনুরোধ পাই দশতলা, বিশতলা। কিন্তু একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য সেটা সেভাবে দেখা যায় না। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন না, আমাদের গুণগত উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকদের সম্মানী-বেতন-সুযোগ-সুবিধা অবশ্যই সেগুলোতে অনেক পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য আমরা বলছি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষকের ভূমিকা সবচাইতে মুখ্য।
তিনি বলেন, অনেক স্তরের শিক্ষক আছে। শিক্ষকদের মধ্যে মানসিক ও পেশাগত দূরত্ব যেন না থাকে। শুধু ক্যাডারভিত্তিক উন্নয়ন হলে হবে না। আমাদের সার্বজনিনভাবে চিন্তা করতে হবে। তাহলে দাবিটা শক্তিশালী হতে হবে।
প্রশাসনে শিক্ষকদের প্রবেশযোগ্যতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশাসনে শিক্ষক হিসেবে কোন অংশে অংশগ্রহণ করা উচিত, আবার কোন অংশে সুনির্দিষ্ট দক্ষতা বা যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার কমতি আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রশাসকের জায়গাটাতে কতটুকু হস্তক্ষেপ থাকবে আবার থাকবে না সেগুলোও আলোচনায় আসতে হবে।
কঅনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, বাংলা একাডেমির ফেলো প্রফেসর রতন সিদ্দিকী, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত হোসেন মোল্ল্যা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা,মার্চ ৩১,২০২৪
এমআইএইচ/এমএম