ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবি, রাজপথে সোচ্চার ছাত্রলীগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবি, রাজপথে সোচ্চার ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পুনরায় ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবিতে আয়োজিত ছাত্রলীগের সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জড়ো হচ্ছেন।  

রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ শাখার নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।

বুয়েট প্রশাসনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করা এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন আবিরের হলের সিট বাতিলকে অন্যায্য দাবি করে এ সমাবেশ ডেকেছে ছাত্রলীগ।  

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিব রাজীবুল ইসলাম ও সজল কুণ্ডুর নেতৃত্বে একটি দল সমাবেশস্থলে এসেছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল, ইডেন মহিলা কলেজ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছে। মিছিল নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আসছেন সমাবেশস্থলে।  

এ সময় ‘জামায়াত-শিবিরের আস্তানা, এ বাংলায় হবে না’ ‘জঙ্গিবাদের আস্তানা, গুঁড়িয়ে দাও’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায় এ দলগুলোকে।  

২৮ মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ একদল নেতা-কর্মী বুয়েটে ‘মহড়া’ দেন।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের প্রবেশে সহায়তাকারীদের একাডেমিক ও হল থেকে বহিষ্কার, ৩০ ও ৩১ মার্চ টার্ম ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন, ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দাবিতে আন্দোলন করছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।  

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (ইমতিয়াজ রাব্বি) হল বাতিল করেছে প্রশাসন।

এদিকে গভীর রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশকে ‘অনিয়মতান্ত্রিক’ বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য ড. সত্য প্রাসাদ মজুমদার। এ ঘটনায় তদন্ত করতে ইতোমধ্যে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে বুয়েট প্রশাসন।  

উপাচার্য বলেন, কেউ (ক্যাম্পাসে) প্রবেশ করা অবশ্যই অনিয়মতান্ত্রিক। কে এসেছে তাকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত না করে তো শাস্তি দেওয়া যাবে না। তার জন্য সময় প্রয়োজন। যদি কোনো নিরাপত্তারক্ষী বহিরাগত ব্যক্তিদের ঢুকতে দিয়ে থাকেন তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

তবে শিক্ষার্থীদের টার্ম ফাইনাল বর্জনকে ‘ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য। তিন বলেন, আমরা পরীক্ষা স্থগিত করিনি। তারা পরীক্ষা স্থগিতের আবেদনও করেনি। তারা এখানে ভুল করেছে। পরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে একাডেমিক কাউন্সিল তা বিবেচনা করতে পারে বলে জানান তিনি।  

একইসঙ্গে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচাললের পদত্যাগের কথাও ভাবছে না বিশ্ববিদ্যালয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগের বিষয়ে আমরা ভাবছি না। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, নিয়ম অনুযায়ী সময়মতো হবে। শিক্ষার্থীরা দাবি করতেই পারে। তবে দাবির মুখে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।  

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
আরবি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।