ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

‘ছাত্ররাজনীতি না চাওয়া মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা নয়’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
‘ছাত্ররাজনীতি না চাওয়া মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা নয়’

ঢাকা: 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি না চাওয়া মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা নয়। আমরা হিজবুত তাহরিরের বিপক্ষে।

একইসঙ্গে কোনো শিক্ষার্থীর শিবির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও বহিষ্কার চাই'।

রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা একথা বলেন।  

দাবি মেনে নেওয়ার নিশ্চয়তা পেলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফিরে যাবেন বলেও জানান এই শিক্ষার্থীরা।  

সম্প্রতি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আড়ালে শিবির ও হিজবুত তাহরির কাজ করছে-এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা।  

তারা জানান, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। তবে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না চাওয়া মানেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মতাদর্শ থেকে দূরে সরে যাওয়া নয়। শিক্ষার্থীরা চায়, ক্ষমতার চর্চা ও লোভ বুয়েটকে আবারও জিম্মি না করুক।  

তারা বলেন, হিজবুত তাহরির একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। এ সংক্রান্ত মেইল দেখার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরকে জানানো হয়। এ ধরনের জাতীয় অপশক্তির উত্থান যাতে বুয়েটে না হয় সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।  

টাঙুয়ার হাওড়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ৩৪ শিক্ষার্থীর বিষয়ে তারা বলেন, সে ঘটনাটি ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন আছে। রায় সাপেক্ষে যদি কোনো শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, আমরা তারও বহিষ্কারের দাবি জানাব। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থীকে শিবিরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত পাওয়া গেলে আমরা তাদেরও বহিষ্কার চাই।  

আজ আন্দোলনে না নামার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, তীব্র নিরাপত্তার শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেনি। বুয়েটের আশপাশের এলাকায় মাইকিং করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পরিচয়সহ পোস্ট করে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি থেকে সরে যায়নি।  

বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশপাশে শিক্ষার্থীরা অনিরাপত্তা বোধ করছে বলেও জানান তারা।

এদিকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনাল বর্জন করেছিল শিক্ষার্থীরা। দুদিনের পরীক্ষায় একজন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীই অংশ নেননি বলে জানান এই শিক্ষার্থীরা।  

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দফায় দফায় প্রতিবাদ জানানোর পরও ছাত্রলীগ বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাকে সম্মান করছে না। তারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি ফিরিয়ে আনার নানারকম উদ্যোগ নিচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।