জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): দেশে তীব্র তাপদাহে মানুষের জীবন যখন বিপর্যস্ত। এ সময়ে বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) পরীক্ষা দিচ্ছে অর্ধ লাখ শিক্ষার্থী। মূল কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ জবির অধীনে আরও ৫টি উপ-কেন্দ্রে এ পরীক্ষা হচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে দিতে তাদের সঙ্গে এসেছেন অভিভাবকরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছোট হওয়ায় ক্যাম্পাসের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না অভিভাবকদের। এজন্য তারা আশ্রয় নিয়েছেন বাহাদুর শাহ পার্ক সহ ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গায়। এ সময় গরমে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায় তাদের। বাহাদুর শাহ পার্কে অল্প কিছু সংখ্যক অভিভাবকরা বসার জায়গা পেলেও অধিকাংশ বসার জায়গা না পেয়ে পার্ক, বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাও যেন এই গরমে একটু স্বস্তি পেয়েছেন তারা।
মিরপুর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে বোন হাবিবাকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে আসা ভাই আরাফাত আহমেদ বলেন, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই ক্যাম্পাস গেটে পৌঁছেছি। যানজটের কথা চিন্তা করে সময় নিয়ে বেরিয়েছিলাম। আমার বোন ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করি, ভালোই পরীক্ষা হবে। তবে এই গরমে ও একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা নিয়ে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আর আমি ঠাঁই নিয়েছি বাহাদুর শাহ পার্কে।
রামপুরা থেকে ছেলে রাসিদকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে আসা বাবা জাকির হোসেন বলেন, আমার ছেলে এবার বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় ওয়েটিংয়ে আছে। আজ গুচ্ছের পরীক্ষা দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু চান্স হয়নি সেহেতু আমি চাই আমার ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুক। এতে ও বাসা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
গরমের বিষয়ে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছোট সেখানে শুধু শিক্ষার্থীরাই ঢুকতে পারে এজন্য আমাদের বাহাদুর শাহ পার্কে অবস্থান করতে হচ্ছে। পুরান ঢাকার মধ্যে মনে হয় এখানেই একটু গাছের ছায়া আছে। গাছের গুরুত্ব যে কত তা গরম এলে বোঝা যায়। অভিভাবকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এখানে মেডিকেল ক্যাম্প ও পানির ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এটা আসলেই প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
এএটি