খুলনা: স্টার্ট-আপ সংস্কৃতির বিকাশ ও তরুণদের উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (খুবি) দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হচ্ছে ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ‘স্মার্ট ইউনিবেটর’ শীর্ষক এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ হাব তৈরি এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিএইচটিপিএ সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এমওইউতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল ফালাহ মো. বালিগুর রহমান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। পরে স্বাক্ষরিত এমওইউ’র কপি উভয়পক্ষের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়।
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জি এস এম জাফরুল্লাহ, এনডিসি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাবের ফোকাল পারসন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ, একই ডিসিপ্লিনের প্রভাষক সজীব চ্যাটার্জি।
এ ইনোভেশন হাবের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ অত্র অঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেন ভবিষ্যতে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে বা উদ্যোক্তা হয়ে নিজে বড় কোম্পানি তৈরি করতে পারে সেজন্য নানা প্রকারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে থেকে নতুন নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে সমাজের কাজে লাগে এমন পণ্য/সেবা তৈরির সম্ভাবনাময় আইডিয়াগুলো বাছাই করে সে আইডিয়া থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্টার্ট-আপ তৈরির এ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যুক্ত থাকবেন।
উল্লেখ্য, ইনোভেশন হাবের স্টার্ট-আপরা হবেন মূলত প্রি সিড বা সিড পর্যায়ের। এ স্টার্ট-আপরা যাতে কিছু ফান্ডিং সুবিধা পেতে পারেন সেজন্যও কাজ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০০০ জনকে স্টার্ট-আপ হতে আগ্রহী করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণ ছাড়াও ইনোভেশন হাবে থ্রিডি প্রিন্টার, ড্রোন তৈরির যন্ত্রপাতি, এআই নিয়ে কাজ করার জন্য কিছু ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়্যার দেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা এসব ইক্যুইপমেন্ট ও সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে এ সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান আহরণ করতে পারবে এবং উক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারবে। এছাড়া স্টার্ট-আপরা ইনোভেশন হাবকে তাদের অফিস বা ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্টার্ট-আপ কোম্পানির সঙ্গে জড়িত থাকলে তিনিও স্টার্ট-আপের সফলতার অংশীদার হবেন।
২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের চতুর্থ তলায় ইনোভেশন হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে একই স্থানে দ্বিতীয় অংশের অনুষ্ঠানে ইনোভেশন হাবের নামফলক উন্মোচন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
এমআরএম/আরবি