ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদায়নে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
জেলার নলছিটি উপজেলার সারদল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চাহিদা গোপন রেখে তালিকা প্রকাশ করলেও বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দাকে সুযোগ বুঝে পদায়ন দেওয়ায় এ অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নলছিটি উপজেলায় ১৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭৬টি অনুমোদিত পদে প্রধান শিক্ষক ৬০ জন এবং সহকারী শিক্ষক ৩১৬ জন। পদশূন্য রয়েছেন প্রধান শিক্ষকের ১৭টি এবং সহকারী শিক্ষকের ২৭টি। গত রোববার (৫ মে) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নবনিয়োগকৃতদের পদায়ন দেওয়া হয়েছে। নলছিটি পৌর শহরের মধ্যে সাড়দল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংকট থাকলেও শূন্য পদের চাহিদায় তা দেখানো হয়নি। নলছিটি উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে গোপনে সংগ্রহ করা শূন্য পদের তালিকায় ১৪৪ নম্বর চরকাঠিপাড়া রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৪৭ নম্বর পূর্ব রানাপাশা রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১৪৬ নম্বর সারদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সহকারী শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষকসহ কোনো পদেরই চাহিদা দেওয়া হয়নি। কিন্তু পদায়নের সময় ওই বিদ্যালয়ে ৭০১১৮৮২ রোল নম্বরধারী দপদপিয়া এলাকার মো. আব্দুস ছত্তার খান ও জীবন নেসা দম্পতির কন্যা কেয়া আক্তারের পদায়ন হয়। শিক্ষকের পদ শূন্য না থাকার পরেও কীভাবে পদায়ন হয়? বিষয়টি গোপন রাখায় সহকারী শিক্ষক পদে নবনিয়োগকৃতদের পছন্দের পদায়নে ওই স্কুলের চাহিদা কেউ দিতে পারেনি। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চাকরিজীবী একজনের বোনকে বাড়ির পাশের ওই বিদ্যালয়ে কৌশলে পদায়নে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সমদ্দার বলেন, উপজেলা থেকে যেভাবে শিক্ষক চাহিদা আসছে সেভাবেই পদায়ন হয়েছে। কিছুদিন আগে সহকারী শিক্ষকদের পদায়ন সম্পন্ন হয়েছে। অনেকেই চাহিদা মতো স্কুলে যাওয়ায় দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে ফাঁকা রয়েছে। এখন সেখানে অনেকেই যেতে চাচ্ছেন না। অনেক কিছুই চিন্তা ও হিসাব-নিকাশ করে ভারসাম্য রেখেই পদায়ন দেওয়া হয়েছে।
চাহিদা না থাকায় কীভাবে সেখানে পদায়ন? প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৪
এসআরএস