ঢাকা: জাতীয় পর্যায়ের অলাভজনক সংস্থা আনন্দলোক ট্রাস্ট ফর এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ৩৪টি আনন্দলোক বিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে ভবিষ্যতের সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আনন্দলোক ট্রাস্টের উদ্যোগে ২৬ মে ২০২৪ ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের রমেশ চন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে একটি ন্যাশনাল কন্সাল্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ও জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আনন্দলোক বিদ্যালয়গুলোকে কিভাবে স্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যায়, সেই বিষয়ে সুধী সমাজের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ ছিল এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, কর্পোরেট ডেলিগেট, বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধি, শিক্ষানুরাগী ও বিভিন্ন স্তরের শ্রেণি পেশার মানুষ এই ন্যাশনাল কন্সাল্টেশনে অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে এই কন্সাল্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। প্রতিটি দরিদ্র পীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আনন্দলোক ট্রাস্টের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ আনন্দলোক বিদ্যালয়ের এই কার্যক্রমকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ও স্কুলগুলোকে স্থায়ীকরণের জন্য সকলের সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. জাফর ইকবাল বলেন, আনন্দলোক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অনুপ্রেরণাদায়ক। এই স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে শিক্ষালাভ করে থাকে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তি ও সংস্থাসমূহ তার নিজ নিজ জায়গা থেকে আনন্দলোক বিদ্যলয়ের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম আরও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক