ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (ঢাবি): সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এই দাবি জানান।
১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তির পর থেকেই তারা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চরম বৈষম্যে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই প্রজ্ঞাপনে ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশকে অমান্য করা হয়েছে। এর ফলে মেধাবীরা আর শিক্ষকতার পেশায় আসবেন না।
বক্তব্যে ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, দেশের উচ্চ শিক্ষাখাত ধ্বংস হলে একটি জাতি, একটি দেশ ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৪ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ নেতাদের বলেছিলেন যে ঢাবির শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেবো। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে সপরিবারে শহীদ হওয়ায় তিনি এ ঘোষণা দিয়ে যেতে পারেননি। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি দাবি জানাই, এই নতুন পেনশন স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আমাদের বর্তমান ব্যবস্থায় পেনশন বহাল রাখার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার।
ইদুল আজহার আগে সরকার এই দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার না করলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ অর্থ-মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রার মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলও ঘোষণা করেছে এই ঐক্য পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
এএটি