ঢাকা: সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
মিছিলে ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক’, ‘স্বাধীনতার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে।
সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হোসেন বলেন, কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল, হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করল; আমরা জানি না। সরকারের সিদ্ধান্তকে হাইকোর্ট বাতিল করেছে। আমরা চাইব সরকারের পক্ষ থেকে যেন আপিল বিভাগে আপিল করা হয়। নয়তো আন্দোলন চলবে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের রক্তের দাগ আজও শুকায় নাই। আমাদের সেই সংগ্রাম ব্যর্থ হওয়ার পথে। আমাদের ওপর হাইকোর্ট যে রায় চাপিয়ে দিয়েছেন, সেই রায় মানি না। যারা কোটাধারী মেধাবী পরিচয় দিতে চান তাদেরকে বলতে চাই, এই পরিচয় খুবই লজ্জার।
শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, ৭১ এর আগে পাকিস্তান সরকার যে বৈষম্য বাঙালিদের সঙ্গে করেছিল, সেই বৈষম্য আমরা মেনে নিতে পারিনি বলেই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। আজ স্বাধীন বাংলাদেশে দুই শতাংশ মানুষের জন্য ৫৬ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটাও চরম বৈষম্য। এই বৈষম্য আমরা মানি না।
হাইকোর্টের এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন বলেও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৪
এসআইএস