কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি): বন্ধ থাকার ৫৩ দিন পর শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। রোববার (২৩ জুন) সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
সশরীরে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে এবং ক্লাসও শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুন থেকে চালু হয় প্রশাসনিক কার্যক্রম। রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা শুরু করেন। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনও চালু করা হয়। ঈদের ছুটি ও দীর্ঘ বন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিনে উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল কাইউম জানান, ক্লাসে ফিরেছি। এটাই আমাদের আনন্দ। আমরা সেশনজট ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি আর চাই না।
গত ৩০ এপ্রিল ৯৩তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক আন্দোলন ও অস্থিরতার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত ৯৫তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৯ জুন থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং ঈদুল আযহার ছুটি শেষে ২৩ জুন থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। এর মধ্যেই ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৬ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এবং ১৩-২২ জুন পর্যন্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
এদিকে বিভিন্ন দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে দীর্ঘদিন সকল ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন করে আসছিল শিক্ষক সমিতি। সর্বশেষ গত ২১ জুন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকরা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকল দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত শিক্ষকরা দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিও পালন করবে।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আমরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মেনে সশরীরে ক্লাস নিচ্ছি। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে অনলাইনে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে হলেও তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন বেলা ১২টা পর্যন্ত বেশ ভালো ক্লাস হয়েছে। দিনের অন্যান্য সময়েও শিক্ষককরা যাতে ক্লাসে মনোনিবেশ করেন। আমাদের সন্তানদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আর যেন তাদের ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে বলছেন শনিবারও প্রয়োজনে ক্লাস চালিয়ে নেবেন। আমি চাইব দিনের পুরোসময়ও যাতে ঠিকঠাক মতো ক্লাস হয়।
শিক্ষক সমিতির দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের অনেক দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আর যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টির দিকে শিক্ষকরা খেয়াল রাখবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
এমজে