ঢাকা: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণা বাবদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ২.১২ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।
গবেষণায় বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে ২০২৪-২৫ সালের বাজেট উপস্থাপনের সময় তিনি এসব তথ্য দেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গত কয়েক বছরের বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ১১ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা করা হয়, যা ছিল মোট বাজেটের ১.৬৩ শতাংশ।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়, যা মোট বাজেটের ১.৫৫ শতাংশ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের গবেষণা বাবদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের চেয়ে ৫ কোটি টাকা বেশি। এছাড়া উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রয়োজন। প্রচুর অর্থ ব্যয় ব্যতীত এ ব্যাপারে সাফল্যমণ্ডিত হওয়া দিবাস্বপ্ন মাত্র।
তিনি বলেন, গবেষণার জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যাপ্ত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রত্যেকের জন্য গড়ে গবেষণা বাবদ বরাদ্দ এক লাখ টাকা। এই অর্থ দিয়ে বড় ধরনের মৌলিক গবেষণা আদৌ কি সম্ভব?
অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং নিয়ে অনেক আলোচনা শুনতে পাই। এই র্যাংকিংয়ে উন্নতি করতে হলে প্রয়োজন গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা। এই খাতে বাজেট বরাদ্দ বহুলাংশে বৃদ্ধি করলে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাব বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
এমজেএফ