ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুর কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন ও বাজেট উপস্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে তিনি এই কথা জানান।
অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ সিনেট সদস্যগণ।
লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আগামী বর্ষ থেকে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হবে। দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করে এই প্রোগ্রাম আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে সম্মানজনক বৃত্তির অর্থসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন, যা উন্নত বিশ্বের অনুরূপ। দেশি-বিদেশি; গবেষকদের আকৃষ্ট করতে বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রোগ্রাম চালু করবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিজস্ব কোনো চিকিৎসা অনুষদ নেই। পৃথিবীর সকল বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হাসপাতাল রয়েছে। জমি পাওয়া গেলে পূর্বাচলে একটি বিশ্বমানের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।
প্রথম বর্ষেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তির আওতায় আনার কথা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এ বছর ৬ হাজার শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এর বেশির ভাগই অস্বচ্ছল; যাদের অনেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় এসেছে। আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও আবাসনের অসুবিধার কারণে প্রায়শ প্রথম বর্ষের বহু শিক্ষার্থী বিপথগামী হয়ে যায়। এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনার লক্ষ্যে ‘১ম বর্ষে শিক্ষার্থীদের নীতিমালা-২০২৪ নামে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিমাসে কম-বেশি ৪ হাজার টাকা করে তাদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে। যাদের ক্লাসে ৮০ শতাংশ উপস্থিতি থাকবে, তারাই এই বৃত্তির আওতায় আসবে।
উপাচার্য আরও জানান, বিশ্ববিদ্যলয়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য ‘ক্যাম্পাস ট্যুরিজম’ বুকলেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সভা-সম্মেলনে আগত দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সমাজের অগ্রগণ্য লোকজনের কাছে ক্যম্পাসের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাস্কর্য-স্থাপনা তুলে ধরার সুযোগ থাকে না। বুকলেটে ক্যম্পাসের ঐতিহাসিক এইসব স্থাপনা, নিদর্শন, স্থিরচিত্র, ম্যাপ ও কিউয়ার কোড যুক্ত থাকবে। এটি ক্যাম্পাস ভ্রমণের আকর্ষণ বাড়াবে।
অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার রাজস্ব ব্যয় সংবলিত প্রস্তাবিত বাজেট এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ৯৭৩ কোটি ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। উপাচার্যের অভিভাষণের পর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এই বাজেট উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
এমএম