ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

৪ দিন আধা বেলা কর্মবিরতির ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
৪ দিন আধা বেলা কর্মবিরতির ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মানববন্ধন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার এবং কর্মকর্তাদের জন্য ইউজিসির সুপারিশ করা অভিন্ন নীতিমালায় ১২ দফা সংযোজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন।

দাবি আদায়ে সংগঠনটির নেতারা দুই দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন।

আগামী সোমবার (১ জুলাই) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং আগামী ৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা এ দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সভাপতি মীর মো. মোর্শেদুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানালেও সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি-পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অভিন্ন নীতিমালার সুপারিশের আগে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা এবং খসড়া উপস্থাপনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সব অংশীজনকে উপেক্ষা করে একতরফাভাবে অভিন্ন নীতিমালা সুপারিশ করা হয়েছে। একই দেশে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম থাকতে পারে না।  

মীর মো. মোর্শেদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তাদের যে সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম। এটি অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় আমরা কোনো বৈষম্য মেনে নেব না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আজ অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছেন। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের স্বার্থে এসব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এসব অযৌক্তিক, সাংঘর্ষিক এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের দুই দফা কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম হিরার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মো. মাসুদুর রহমান, চুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান চঞ্চল, চট্টগ্রাম অফিসার্স সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদ হাসান নোমানী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।