কুমিল্লা: পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর জানা গেল শিক্ষার্থীদের হাতে যাওয়া প্রশ্ন পুরোনো সিলেবাসের। পরে প্রশ্ন তুলে নিয়ে নতুন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের হাতে দেন কেন্দ্র সচিব।
পরীক্ষা শেষে অতিরিক্ত ১০ মিনিট না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এদিন ছিল এইচএসসির সমমানের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিএমটি দ্বিতীয় বর্ষের কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন-০২ বিষয়ের পরীক্ষা।
ওই কেন্দ্রে উপজেলার বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও হায়দ্রাবাদ কলেজের কারিগরি শাখার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিএমটি দ্বিতীয় বর্ষের কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন-০২ বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এ বিষয়ের আগের পুরোনো সিলেবাসের কোড ছিল ১৮২৩। নতুন সিলেবাসের কোড হচ্ছে ২১৮২৩। বাঁশকাইট কলেজের কেন্দ্র সচিব প্রভাষক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া পুরোনো সিলেবাসের ১৮২৩ কোডের দুই বান্ডেল প্রশ্ন খুলে পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিলি করেন। একজন শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে তারা বুঝতে পারেন, বিষয় কোডটি ভুল হয়েছে। তারপর নতুন সিলেবাসের ২১৮২৩ কোডের বিষয়ের প্রশ্ন খুলে হলে পুনরায় বিতরণ করা হয়। মাঝখানে ১০ মিনিট অতিবাহিত হয়ে যায়। এ বিষয়ে ছাত্রদের মধ্যে হই-হুল্লোড় শুরু হলে পরে ১০ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের শান্ত করা হয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষে ১০ মিনিট সমন্বয় না করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্র সচিব নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সঙ্গে ফোনে কথা হলে বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটে নাই কেন্দ্রে। একপর্যায়ে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিফাত উদ্দিন পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্ন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সঠিক প্রশ্নটি খুঁজে না পাওয়ায় ভুলক্রমে পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নটি বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
এসআই