খুলনা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা-নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীসহ নিরপরাধ জনসাধারণ হত্যা ও নিপীড়নের প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে কুয়েটের দুর্বার বাংলার সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
সাধারণ শিক্ষকদের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হেলাল-আন-নাহিয়ান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহজাহান আলী, মানবিক বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজিয়া খাতুন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মীর আব্দুল কুদ্দুস, ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম প্রমুখ।
মানববন্ধনে ড. মো. হেলাল-আন-নাহিয়ান বলেন, শিক্ষার্থীসহ নিরপরাধ মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যেকের হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, তাদের পিতৃতুল্য। আমরা অনেক মিডিয়ায় দেখেছি রাজপথে স্টুডেন্টদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর নিরপেক্ষ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে এমনকি গতকাল খুলনায়ও গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের বিচার আমরা অবশ্যই চাই কিন্তু এভাবে রাস্তায় যাকে পাচ্ছে গণহারে গ্রেপ্তার করছে এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা থানায় গিয়ে দেখেছি আমাদের একজন ছাত্র কফি শপ থেকে বের হয়েছে, একজন বাবার জন্য ওষুধ কিনতে গেছে তাদের তুলে নেওয়া হয়েছে। যেভাবে শিক্ষার্থীদের থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এটা কোনোভাবেই কোনো কল্যাণকর রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না। স্বাধীনতার ৫ দশক পর আমরা চাই কল্যাণকর রাষ্ট্র। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।
আক্ষেপ করে ড. মো. হেলাল-আন-নাহিয়ান বলেন, আমরা দেখেছি একাধিক শিক্ষক নিপীড়িত হয়েছেন। কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীকে নিপীড়ন করা যাবে না। দেশের সচেতন মানুষ ও সাধারণ মানুষ হিসেবে সরকারকে বলতে চাই কোনো মানুষকে আর কোনো নির্যাতন করা হোক তা আমরা দেখতে চাই না এবং সারা দেশের সমগ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদেরকে হত্যা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে মানবন্ধনে শিক্ষকরা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৪
এমআরএম/এমজে