ইবি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে ‘নিপীড়ন ও বৈষম্যবিরোধী সচেতন শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে প্রতিবাদ র্যালি ও সংহতি সমাবেশ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এতে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেনসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই সময়ে ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল দুটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে মিলিত হয় এবং কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় উভয়দিকে কয়েক কিলোমিটার পথ জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। এছাড়া চলমান হত্যাকাণ্ডের অতিদ্রুত বিচার এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
সমাবেশে শিক্ষকরা বলেন, ‘আজকে আমরা গোটা জাতি বাকরুদ্ধ। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই আজকের পর থেকে যদি আমাদের কোনো শিক্ষার্থীর বুকে গুলি চালানো হয়, কাউকে বেআইনিভাবে হয়রানি করা হয়, তাহলে আমরা শিক্ষক সমাজ বসে থাকবো না। আমরা জানি অনুমতি ছাড়া একজন পুলিশ সদস্যেরও গুলি করার ক্ষমতা নেই। এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রাণহানির ঘটনা আমরা ইতিহাসে কখনোই খুঁজে পাবো না। ’
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আর ৯ দফাতে নেই এখন এক দফাতে রূপান্তরিত হয়েছে। আর সেই দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমরা অসহযোগ আন্দোলনে রয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
সব শ্রেণির মানুষকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এছাড়া তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আর কোনো আল্টিমেটাম দিতে চাই না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
এসআইএস