খুলনা: খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)' ভিসি প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া রোববারের (১১ আগস্ট) মধ্যে পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসে ডুকতে না দেওয়া আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
কুয়েটের সাধারণ শিক্ষকরা রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসে র্যালি ও প্রতিবাদ সভায় এ ঘোষণা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও ফ্যাসিজম 'র সমার্থক এবং কলুষিত রাজনীতির পৃষ্টপোষক ভিসি ও প্রো-ভিসি'র পদত্যাগ চাই, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের ব্যানারে একটি র্যালি বের করেন শিক্ষকরা। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড.আফতাব হোসেন, প্রফেসর ড. এম এম হাশেম, প্রফেসর ড. শাহজাহান ও প্রফেসর রাজিয়া খাতুন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টিং ভিসি প্রফেসর ড. সাইদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ হেলাল আন- নাহিয়ান, প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. গোলাম কাদের, প্রফেসর মাহমুদুল আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুবই লজ্জিত এবং ব্যথিত এ কারণে যে, আমাদের ভিসি এবং প্রো-ভিসি ফ্যাসিবাদের সমর্থক ছিলেন। যারা ছাত্র নির্যাতনকারীদের পক্ষে ছিলেন। তারা আজ কুয়েট থেকে পলাতক। যে কুয়েটে ছাত্ররা আসার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে আছে। একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে বসে আছি।
এ অবস্থায় ভিসি এবং প্রো-ভিসি পলাতক। আমরা চাই অবিলম্বে ভিসি এবং প্রো-ভিসি পদত্যাগ করুক। গত কয়েক বছরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি তাদের যে নির্যাতন, নিয়োগ বাণিজ্য, দলীয়করণ, সবকিছু ছাড়িয়ে তারা যে পর্যায়ে চলে গেছে যে কারণে তারা আজ ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছে, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। লজ্জার ব্যাপার যিনি ক্যাম্পাসের অভিভাবক তিনি আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমরা সাধারণ শিক্ষকরা আল্টিমেটাম দিচ্ছি আজকের মধ্যে ভিসি, প্রো-ভিসি যদি পদত্যাগ না করে তাহলে তাদেরকে আর কখনো ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
প্রফেসর ড. মো. হেলাল আন-নাহিয়ান বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রবল অসহযোগিতা করায় কুয়েট ভিসি এবং তার অনুগতদের আজকের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে। কোটা আন্দোলনবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপ ও তাদের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে সবার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
পাশাপাশি আমরা দাবি জানাচ্ছি কুয়েটে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১ , ২০২৪
এমআরএম/জেএইচ