ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশাকে নিয়োগ করে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছে একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৬ আগস্ট এ দুইজন শিক্ষককে উপ-উপাচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অনুমোদন দিয়েছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। দ্রুত দুই উপ-উপাচার্যের নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থার অবসান করতে হবে।
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মাহির আজওয়ার বলেন, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের খবর জানার পর শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো বিশেষ ইশারায় তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এ শিক্ষকদের বাদ দিয়ে যদি দলীয় লেজুড়বৃত্তিক বিবেচনায় অন্য কাউকে নিয়োগের চেষ্টা করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শের শাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে একটি স্থবিরতা কাজ করছে। উপ-উপাচার্যদ্বয়ের নিয়োগ দিয়ে দ্রুত এ স্থবিরতার অবসান করা হোক।
মানবন্ধনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমরান এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন একই দাবি তুলে ধরেন।
মানববন্ধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সব নিয়োগের প্রজ্ঞাপন ইতোমধ্যেই জারি হলেও রহস্যজনকভাবে আটকে আছে উপ-উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন। এ মুহূর্তে সার্বিকভাবে যোগ্য ও শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার পরও মনোনীত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি না করার পেছনে কোনো রাজনৈতিক চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র বিদ্যমান।
‘আমরা আশঙ্কা করছি, একটি মহল তাদের বিরুদ্ধে অপকৌশল প্রয়োগ করে দলীয় শিক্ষকদের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা করছে। আমরা এই চেষ্টা প্রত্যাখান করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
আরএইচ