পটুয়াখালী: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. এমরান হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ১০(১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামকে যোগদানের তারিখ থেকে আগামী চার বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের বাড়ি বরিশাল শহরে। তার বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবী মরহুম কাজী আব্দুল খালেক ও মা কাজী রাবেয়া বেগম।
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) এবং ১৯৯৮ সালে ফার্মাকোলজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং জাপানের কাগাওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং নিউরোলজি বিভাগ থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে ২০০৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৯ সালে আচার্য স্বর্ণ পদক, ২০১১ সালে জাপানের কাগওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতি পদক, ২০২৩ সালে বাউরেস থেকে গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, জাপানে আন্তর্জাতিক অ্যালডোস্টেরন ফোরাম থেকে আইএএএফ অ্যাওয়ার্ডে প্রথম স্থান অর্জন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি থেকে শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা পুরস্কার-২০১৪, শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা পুরস্কার-২০১৫ এবং শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা পুরস্কার-২০২৩ লাভ করেছেন। এছাড়া তিনি জাপান সরকার কর্তৃক জেএসপিএস পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ, পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ, গবেষণা সহকারী ফেলোশিপ, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ফেলোশিপ এবং ফাইজার লিমিটেড, জাপানের ট্রাভেল গ্রান্ট অ্যাওয়ার্ডসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক ও বহু পুরস্কার পেয়েছেন।
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। রিসার্চগেটের তথ্য মতে উচ্চমাত্রার সূচকের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত তার রিসার্চ আর্টিকেলের মোট সংখ্যা ১০৯টি। গুগল স্কলার্সের তথ্য মতে, তার সাইটেশন সংখ্যা দুই হাজার ১৮০, এইচ-ইনডেক্স সংখ্যা ২৫, আই ১০-ইনডেক্স সংখ্যা ৫৯। তিনি বাকৃবির ফার্মাকোলজি বিভাগে এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি নয়জন পিএইচডি ছাত্রছাত্রী এবং ৮৫ জন এমএস শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধান করেছেন।
একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ভেটেরিনারি ফর্মুলারি প্রিপারেশন কমিটি, ডিজিডিএ, ঢাকার আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ফিজিওলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভেটেরিনারি রিসার্চ উপদেষ্টা, ওয়ান হেলথ্ বাংলাদেশের আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের সাধারণ সদস্য, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন এবং গবেষণাসহ বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশাজীবী এবং সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
এসআই