ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এসএম হলে ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
এসএম হলে ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর এহসান রফিক/ছবি: সংগৃহিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে (এসএম) এক শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র এহসান রফিক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভোক্তভোগী জানায়, মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক প্রায় তিনমাস আগে এহসানের কাছ থেকে ক্যালকুলেটর ধার নেয়। এহসান তার কাছে প্রায়ই ক্যালকুলেটর দাবি করতো। কিন্তু ওমর ফারুক ক্যালকুলেটর পরে দিয়ে দেবে বলে জানাতো।

সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে এহসান ক্যালকুলেটর চাইতে গেলে তাকে হল শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আরিফের (আইইআর) মাধ্যমে টিভি রুমে ডেকে নেয় ওমর ফারুক। এসময় টিভিরুমে উপস্থিত ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তানিম (আইইআর) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিম ইরতিজা শোভন (উর্দু) ও আবু তাহের (পপুলেশন সাইন্স)। তারা এহসানকে শিবির অপবাদ দিয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চেক করে। কিন্তু তারা ফেসবুকে কিছুই না পেয়ে জোরপূর্বক শিবির স্বীকারোক্তি আদায়ে তাকে বেদম মারধর করে। তারা মৌখিকভাবে এহসানকে হল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে হল গেটে বের করে দেয়।

সেখানে আরেকধাপ ছাত্রলীগের হল শাখার সহ সম্পাদক ওমর ফারুক ও রুহুল আমিন, সদস্য সামিউল ইসলাম সামী, আহসান উল্লাহ, উপ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলের নেতৃত্বে রড, লঠি সোটা দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে এহসান জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে আরিফ রাত সাড়ে তিনটায় এহসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে এসে হল শাখা সভাপতি তাহসান আহমেদের (১৬ নম্বর) কক্ষে তথ্য না প্রকাশের জন্য প্রলোভন ও হুমকি দিয়ে আটকে রাখা হয়।

বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এহসানের অবস্থা খারাপ হলে তাকে আবার ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে হলে এনে একই কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে হল থেকে পালিয়ে আসে এহসান।

এ বিষয়ে আহতের বাবা রফিকুল ইসলাম চিকিৎসকে বরাত দিয়ে বলেন, এহসানের চোখের কর্ণিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। ভবিষ্যতে যেনো আর কোনো বাবাকে তার সন্তানকে এভাবে নির্যাতিত না দেখতে হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ক্যালকুলেটর নিয়ে নিজেরা মারামারি করেছে। এতে এহসানের চোখে আঘাত লেঘেছে। যারা মারধর করেছে তাদের হল থেকে বের করে দিয়েছি এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হল প্রাধ্যক্ষ ড. মাহবুবুল আলম জোয়ারর্দারকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।