ঢাকা, সোমবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিলুপ্ত ছিটমহলের বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
বিলুপ্ত ছিটমহলের বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবি ৭৮ নম্বর গারাতি ছিটমহলের শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় জেলার সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলে সড়ক, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সেখানে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠা কয়েকটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ধুঁকে ধুঁকে। 

বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারীরা বেতন-ভাতা বিহীন দায়িত্ব পালন করায় পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।

পঞ্চগড়ে বিলুপ্ত ৭৮ নম্বর গারাতি ছিটমহলের শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পঞ্চগড় দেবীগঞ্জ উপজেলার দিনবাজার ৩৬ নম্বর কাজলদীঘি ছিটমহলের শেখ রাসেল স্মৃতি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ২০০৮-০৯ সালে জেলার ৩৬টি ছিটমহলে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। বিদ্যালয়গুলোতে গড়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০০ জন। শিক্ষক ও দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীসহ ছয়জন করে কর্মরত আছেন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকে কর্মরত বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা পায়নি কোনো বেতন-ভাতা।

এদিকে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের আওতাভুক্ত হওয়ায় কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে। কর্মরত শিক্ষক কর্মচারী ও সাবেক ছিটমলবাসীর দাবি সরকার দ্রুতই তাদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনবে।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শিমা ও শেখ রাসেল স্মৃতি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শরিফা আকতার বাংলানিউজকে জানায়, ‘এখানে কোনো বিদ্যালয় ছিলো না। আমরা পড়াশোনা করতে পারতাম না। এখন আমাদের এখানে বিদ্যালয় হয়েছে। আমরা নিয়মিত বিদ্যালয় যাই। পড়া-লেখা করতে পারছি। ’

শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনূর রশিদ বাংলানিজেক বলেন, ২০০৮ সালে ছিটমহলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে আমরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। এখনও কোনো সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পাইনি। বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।

শেখ রাসেল স্মৃতি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার রায় বলেন, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে ও বিলুপ্ত ছিটমহলের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত জাতীয়করণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।