বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের আদেশক্রমে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে আগামী সাতদিনের মধ্যে উপযুক্ত উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাময়িক বহিস্কৃতরা হলেন- শিক্ষা বিষয়ক শাখার কর্মচারী মো. মোশারফ হোসেন, কর্মকর্তা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান টিটু।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল বাসার আমজাদ, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মো. খাইরুল আলম নান্নু, মো. আবদুল বাতেন, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের মোহাম্মদ মোস্তাইন কবীর সোহেল, সংস্থাপন শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আশিকুল আলম বাচ্চু ও খামার ব্যবস্থাপনা শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় প্রশাসন।
নোটিশে বলা হয়, সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়াই উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযুক্তরা ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রোক্টর ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, রেজিস্টার ও সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে লক্ষ করে অকথ্য ভাষায় কটুক্তি করে এবং অশালীন শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করেন। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যহত হয় এবং উপাচার্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি সংবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও গুরুতর অপরাধ।
এদিকে, প্রশাসনের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পর অফিসার পরিষদের নেতারা মিছিল নিয়ে হিসাব সংরক্ষণ শাখা, প্রকৌশল শাখা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেন। কিন্তু প্রশাসন ভবনে পুলিশ মোতায়েন থাকায় তালা দিতে ব্যর্থ হয়। কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্যাম্পাসে মিছিল করে কর্মচারীরা। এ সময় তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে কারিগরি কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ না করায় ধাওয়া দেয় কর্মচারী পরিষদের সাধারণ কর্মচারীরা। এতে কারিগরি কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবদুল মোত্তালেব ও সাধারণ সুলতান মাহমুদ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসআরএস