বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, আগের নয়টি সমাবর্তনের থেকে এবারের আয়োজনটি হবে আরও জাকজমকপূর্ণ।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, দশম সমাবর্তনকে সামনে রেখে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতির প্রটোকল বাহিনী ক্যাম্পাসে পৌঁছে গেছেন। তারা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নানাবিধ পরামর্শ দিচ্ছেন।
জানা গেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবর্তনের দিন থাকছে না বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যম্পাসে আইডি কার্ড নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থিত ভাসমান দোকানগুলোও তুলে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও রাবি চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সমাবর্তনে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেনকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন রাবি কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও সমাবর্তনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হলের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের।
এদিকে, সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৫টায় রাবি স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেখানে গান পরিবেশন করবেন দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনসহ অন্যান্য শিল্পীরা। এমন জমকালো সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন ছয় হাজারের বেশি গ্রাজুয়েট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী বাংলানিউজকে জানান, সমাবর্তনটিতে দুই দফায় নিবন্ধনের ব্যবস্থা ছিল। এতে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি, এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রি অর্জনকারীদের নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়। দশম সমাবর্তনে অংশ নিতে মোট ছয় হাজার নয়জন গ্রাজুয়েট নিবন্ধন করেছেন।
সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান স্পটগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি রাবির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এসএস/এএইচ