ইতোমধ্যে হল নির্মাণের স্থানও নির্বাচন করা হয়েছে। ধারণক্ষমতা বেশি হওয়ায় হল দু’টির নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুস সোবহান বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের দক্ষিণ পাশে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল এবং খালেদা জিয়া হলের পূর্ব দিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নির্মাণ করা হবে। দু'টি হলই দশ তলাবিশিষ্ট হবে।
এর মধ্যে শেখ হাসিনা হলে অত্যাধুনিক একটি সুইমিংপুল থাকবে। সেখানে হলের সব ছাত্রী প্রবেশের সুযোগ পাবেন। এরই মধ্যে হল নির্মাণের দরপত্র ও থ্রি-ডি নকশা আহ্বানের কাজ শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার বাংলানিউজকে জানান, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় দশম সমাবর্তনে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন। ওইদিন তিনি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ হল দু’টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনেও সদয় সম্মতি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য ১১টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৬টি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি হলের সঙ্গে সংযুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৯শ' ৪৬ জন। আবাসিক সুবিধা রয়েছে ৮ হাজার ৩শ ৫৪ জনের।
হলে থাকার সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৫শ' ৯২ জন। ৬টি ছাত্রী হলে ৩ হাজার ৩শ' ১৯ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আর ১১টি ছাত্র হলে আবাসিক সুবিধা রয়েছে ৫ হাজার ৩৫ জন ছাত্রের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এসএস/এএ