শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল সংলগ্ন মাঠে অবতরণ করেন।
এদিন বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতির।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ। এরপর সমাবর্তন বক্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ইমেরিটাস আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন বক্তব্য রাখবেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেনকে সম্মনানসূচক ডি-লিট ও অভিজ্ঞানপত্র প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটরা আসন গ্রহণ করেন। বিকেল পৌনে ৪টায় সমাবর্তন শোভাযাত্রা বের করা হবে। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে অবতরণের পর তাকে ফুল দিয়ে অর্ভ্যথনা ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে গেলে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও ছাত্রদের জন্য শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করবেন।
বিকেল ৪টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ পাঠের পর রাষ্ট্রপতি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। পরে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেনকে ডি-লিট ডিগ্রি দেওয়া, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্তদের সনদপত্র দেওয়া, বিশেষ অতিথির বক্তব্য, সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য, সমাবর্তন স্মারক দেওয়াসহ রাষ্ট্রপতির ভাষণ।
শেষে রাষ্ট্রপতি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা পর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে। পরে বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করবেন।
এদিকে, রাষ্ট্রপতির রাবিতে আগমন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে সতর্কাবস্থানে রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বহিরাগত কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আইডি কার্ড নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থিত ভাসমান দোকানগুলো তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এসএস/আরআইএস/