এ পরীক্ষায় সব ধরনের অনিয়ম ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সিনিয়র অধ্যাপক, সিনিয়র কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্বয়ে মোট আটটি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করেছে ইউনিট-২’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি ও প্রশাসন।
এবার ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ইউনিট-২ মানবিক বিভাগের এই ইউনিটের ১ হাজার ২৭০টি আসনের বিপরীতে প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছিলেন ১৬ হাজার ৭১৫ শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিট-২'র পরীক্ষা কমিটির প্রধান কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রশ্নফাঁস এবং বিগত সময়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর জন্য এবার লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে শুধুমাত্র সৃজনশীল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত মেধাবীদের খুঁজে বের করবো। শুধুমাত্র প্রকৃত মেধাবীরাই জবিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম আমরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছি। কারণ দূরের কেন্দ্রগুলোকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কঠিন। তাই আমাদের উপাচার্য মহোদয়ের এবং আমাদের মনে হয়েছে ক্যাম্পাসের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাই আমরা এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কমিয়ে এনেছি। এরপরেও সব ধরনের অনিয়ম ও অপতৎপরতারোধে মাঠে থাকবে ৮টি ভিজিলেন্স টিম। যা গঠন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্বয়ে। যারা সার্বক্ষণিক মাঠে নিয়োজিত থাকবেন সব ধরনের অপতৎপরতারোধে। প্রতি কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য দু'টি করে টিম কাজ করবে। এর বাইরে প্রক্টোরিয়াল বডি ও পুলিশ সর্বক্ষণ নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৮
কেডি/এএটি