মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে রাকসু সংলাপ কমিটির সঙ্গে আলোচনায় সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব দাবি জানান।
রাকসু’র গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর বিষয়গুলো হলো- গঠনতন্ত্রের ২ নম্বর অনুচ্ছেদে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও গণতান্ত্রিক চর্চা সম্পর্কিত ধারা যুক্ত করা, ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের ৯, ১০, ১১, ১২, ১৯ ও ২০ নম্বর ধারায় বর্ণিত বিভিন্ন পদের নাম পরিবর্তন।
এছাড়াও, রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে তারা ১৩ দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলো হলো- নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দ্রুতগতি আনা, পরিবেশ পরিষদ গঠন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, অসাম্প্রদায়িক ও সব সংগঠনের গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন, ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা, সান্ধ্য কোর্সের শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থিতা না রাখা, ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে করে সিসিটিভির আওতায় আনা, আবাসিক হল দখলদারিত্ব মুক্ত করা, মেয়েদের আবাসিক হলের সান্ধ্য আইন বাতিল ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, নির্বাচনকালে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, প্রতিটি অনুষদে শিক্ষার্থীদের কমনরুমের ব্যবস্থা করা, এবং সব সংগঠনের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারী সংগঠনের প্রতিনিধি নিয়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা।
এসময় রাকসু সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, রাকসু’র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মীর ইমাম ইবনে ওয়াহেদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, সহকারী প্রক্টর আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র মহন্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
আরএ