শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট বডির সভায় মাদক সেবন ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থী অনাবাসিক হওয়ায় তাদের এক হাজার টাকা জরিমানাসহ ছয় মাসের মধ্যে হলে প্রবেশ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রভোস্ট বডির সভায় সংশ্লিষ্টরা জানান, রুটিন কাজের অংশ হিসেবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট মো. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে অন্য সহকারী প্রভোস্টরা হল পরিদর্শনে যান। এসময় তারা হলের একটি কক্ষে চার ছাত্রকে মাদক সেবনরত অবস্থায় দেখতে পান। পরেরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি হলের আরেকটি কক্ষে প্রভোস্ট বডির সদস্যরা গাজা সেবনের বিভিন্ন উপকরণ দেখতে পান। এছাড়া ওই কক্ষের ছাত্ররা সারারাত ড্রাম ও উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ পান। গঠিত তদন্ত কমিটিও এসব ঘটনার সত্যতা পায়।
পরে তদন্ত কমিটি প্রভোস্ট বডিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস এর পার্ট-১ এর ৩ (প) অনুযায়ী অভিযুক্ত ছাত্রদের এক বছরের জন্য বহিষ্কারাদেশ দেওয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করে। তবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনা এবং শোধরানোর শেষ সুযোগ দিতে প্রভোস্ট বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস এর পার্ট-২ এর ৬ ধারা অনুযায়ী আট শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার এবং তিন ছাত্রকে এক হাজার টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ৯টায় শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট মো. আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে হলের সভাকক্ষে প্রভোস্ট বডির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন হলের সহকারী প্রভোস্ট মো. মজনুজ্জামান, ড. মো. ফরহাদ বুলবুল ও মোহাম্মদ নওশীন আমিন শেখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
ইউজি/আরআর