রোববার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ দুই দাবিতে ভিসি কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে এলে তাৎপ্রশাসনিক ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কোটা আন্দোলনের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক, বাম জোটের লিটন নন্দী, স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী আসিফুর রহমান উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন।
উপাচার্যের কার্যালয় থেকে আসার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বামজোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী। এসময় তিনি সাতটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হল-সবার ভোটগ্রহণের বাস্তব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ভোট নেওয়ার সময় আরও চার ঘণ্টা বাড়ানো, নির্বাচন-কেন্দ্রিক শঙ্কা ও ধূম্রজাল নিরসনের লক্ষ্যে সব ধরনের মিডিয়ার কেবল পোলিং বুথের অভ্যন্তর ছাড়া নির্বাচনী এলাকা ও ভোটকেন্দ্রের সব তথ্য সংগ্রহের অবাধ সুযোগ তৈরি করা, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে নিরুৎসাহিত করাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগের অনুমতি প্রদান, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল বেলা ব্যালট পেপার নেয়া এবং ভোট গ্রহণের দিন সকাল বেলা সব রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
‘নীল নকশা করছে যারা, স্বচ্ছ ব্যালট দেয় না তারা, ভোট ডাকাতি হলে পরে জ্বলবে আগুন ক্যাম্পাস জুড়ে, ১১ তারিখ সারাদিন রড় হাতুড়ির জবাব দিন’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয় তারা।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তারা উপাচার্য কার্যালয় ত্যাগ করে। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও একই বিষয়ে বিক্ষোভ করে।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১১ মার্চ (সোমবার) ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এসকেবি/এসএইচ