অধ্যাপক আরিফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, গবেষণাপত্রে শিরোনামে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি বহাল থাকবে। ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ বহাল রেখেই গবেষণাটি অনুমোদিত হয়েছে।
এনিয়ে গত ৬ জুলাই (শনিবার) বাংলানিউজে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে গবেষণার নাম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বাদ!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নজরে এলে ক্যাম্পাসে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিভাগের খাদিজা আক্তার নামে এক এম.ফিল. গবেষক ‘বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি: প্রেক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য’ শিরোনামে ওই এমফিল গবেষণা করেন। সেই গবেষণায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক যেসব পররাষ্ট্রনীতি নেওয়া হয়েছিল, সেসব বিষয় নিয়ে তথ্য সন্নিবেশ করা হয়। এ গবেষণাটির সুপারভাইজার হিসেবে ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক আরিফুর রহমান এবং কো-সুপারভাইজার ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. ফায়েকুজ্জামান।
গবেষণা শেষে তা জমা দেওয়া হলে শিরোনাম নিয়ে আপত্তি ওঠে একাডেমিক কমিটিতে। বিভাগের বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা গবেষণাপত্রের শিরোনামে ‘বঙ্গবন্ধু’ উল্লেখ করায় আপত্তি জানান। সে কারণে গত ৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সাধারণ সভায় গবেষণাপত্রটির শিরোনাম পরিবর্তন করতে প্রস্তাব দেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গবেষেণার শিরোনাম করা হয় ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি (১৯৭২-৭৫); প্রেক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য’। এরপর বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এ প্রস্তাবই গৃহীত হয়।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা আহ্বান করা হয়। সভায় ওই গবেষণাপত্রে শিরোনামে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে ‘বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি: প্রেক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য’ শিরোনামে ওই এমফিল গবেষণা জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
এদিকে, বিভাগের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের আপত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ বাদ দেওয়াকে ‘বঙ্গবন্ধুর অবমাননার শামিল’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সোমবার (৭ জুলাই) বিক্ষোভ-মিছিল আহ্বান করে। পরে বিভাগের একাডেমিক কমিটি গবেষণাপত্রে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ বহাল রাখতে সম্মত হওয়ার কর্মসূচি বাতিল করা হয়।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় পূর্বের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে গবেষণার শিরোনামে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
** সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে গবেষণার নাম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বাদ!
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
এসআরএস