ঢাকা, রবিবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংসের কিনারে নিতে অভিন্ন নীতিমালা’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
‘উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংসের কিনারে নিতে অভিন্ন নীতিমালা’ মানববন্ধন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের গৃহীত দেশের সব পাবলিক বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি বিষয়ক অভিন্ন নীতিমালা উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে এ অভিমত প্রকাশ করা হয়।  

ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেটা অভিন্ন নীতিমালার অন্তর্ভূক্ত।

উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতেই এ নীতিমালা। আমাদের এ কালো চক্রান্ত রুখতে হবে। শিক্ষক ফোরাম এ অভিন্ন নীতিমালা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে যারা অভিন্ন করতে চায়, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয়, দেশের ভেতর আরেকটি দেশ। একটি দেশের যেমন সংসদ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন সংসদসম সিন্ডিকেট থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়ম-কানুন স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নির্ধারণ করবে।

মানববন্ধনে ফোরামের পক্ষে বিবৃতি প্রদান করেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আলতাফ হোসেন রাসেল। বিবৃতি বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও ইউজিসি প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ দু’টি অনুযায়ী, ‘স্বায়ত্তশাসনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই নিজের মান নির্ধারণ করবে। আর ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদানুযায়ী শুধু আকার নির্ধারণ করবে। অথচ গত ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ইউজিসির ১৪৬ তম সভায় পাবলিক বিশ্বিবদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি বিষয়ক এক অভিন্ন নীতিমালা গৃহীত হয় যা ইউজিসি'র কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নকে নিয়ন্ত্রণ করার সূক্ষ্ম প্রয়াস।  

এর পরিপ্রেক্ষিতে এ নীতিমালা নিয়ে একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসি নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।