ঢাকা, রবিবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

'ব্যক্তিগত বিষয়ে বহিষ্কারের অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই'

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
'ব্যক্তিগত বিষয়ে বহিষ্কারের অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই'

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে বহিষ্কার নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের একটি কথোপকোথন একটি রেকডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে। যা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে যে কারণ দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা তিনি (জিনিয়া) অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে ওই ছাত্রীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করেছে।

 

বহিষ্কারের বিষয়ে ফাতেমা তুজ জিনিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত ২২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন করার জন্য ভিসি স্যারের কাছে যাই। তখন তিনি আমাকে কোনো তথ্য না দিয়ে বরং ফেসবুকে দেওয়া আমার একটি স্ট্যাটাস (‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কী?’) নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় শাসান ও বিভিন্ন ধরনের বিরূপ মন্তব্য করেন।

জিনিয়া আরও বলেন, এক ছাত্রের সঙ্গে ফেসবুকে কথোপকথন নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে এ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমাকে বহিষ্কার করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই উল্লেখ করে জিনিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য ও বরাদ্দ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়ায় আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

ওই ছাত্রীকে বহিষ্কারের ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত সোমবার দুপুরে একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধ শামস জেবিনকে মারপিট করা হয়।  

এদিকে বুধবার দুপুরে এ ঘটনার  সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুর রহিম খানের উপস্থিতিতে তার  অফিস কক্ষে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ছাত্রের কাছ থেকে তদন্ত কমিটি লিখিত ও মৌখিকভাবে ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন।  

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ওই ছাত্র ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করেন এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।

প্রক্টর মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।