ঢাকা, রবিবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফের জাবি উপাচার্যকে কালো পতাকা প্রদর্শন

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
ফের জাবি উপাচার্যকে কালো পতাকা প্রদর্শন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো উপাচার্যকে কালো পতাকা প্রদর্শন করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।  

এর আগে, সোমবার (২৩ সেম্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ এবং রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) শহীদ মিনারের পাদদেশে একই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কালো পতাকা প্রদর্শন শেষে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের অন্যতম মূখপাত্র দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন।

কর্মসূচিতে রয়েছে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপাচার্যকে তিরষ্কার ও মানববন্ধন, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনকারীরা বলেন, দুর্নীতির দায় নিয়ে নিজে পদত্যাগ করুন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচান। দিন দিন স্বৈরাচারী হয়ে উঠছেন, স্বৈরাচারী আচরণ করে আপনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না।

পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটি কলঙ্কময় সময় পার করছে। উপাচার্য আমাদের কাছে আন্দোলনের কারণ জানতে চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদটি যখন কলঙ্কিত হয় তখন আন্দোলন ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। পদ ও ক্ষমতার চর্চা করে আপনি স্বৈরাচার হয়ে গেছেন। গণতান্ত্রিক দেশে স্বৈরাচারী আচরণ করে আপনি টিকে থাকতে পারবেন না। পদত্যাগ করে আমাদের বাঁচান, নিজে বাঁচুন। অন্যথায় আগামী ১ অক্টোবরের পর আপনাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। ’

ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ‘ছাত্রলীগকে টাকা ভাগবাটোয়ারা করার দায় উপাচার্য কীভাবে অস্বীকার করবেন। আমরা চাই না উপাচার্যের বাসভবন ‘হাওয়া ভবন’ হোক। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো রাগ নেই। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদটি যে আপনি কলঙ্কিত করেছেন সে দায় নিয়ে সসম্মানে পদত্যাগ করুন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের কথা শুনে পদত্যাগ করুন। ’

কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রানা, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক জাকির হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, ইনস্টিটউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক ফজলুল করীম পাটোয়ারী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক তারেক রেজা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদসহ জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।