ঢাকা, রবিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে গণবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

গণ বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে গণবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন মানববন্ধন, ছবি: বাংলানিউজ

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (সাভার): বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গণবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

গণবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মনিরুল হাসান মাসুম বলেন, ছাত্ররূপী সন্ত্রাসী একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে খুন করলো! আমরা এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারিনি।

মুক্তিযুদ্ধ বা বাঙালি চেতনা এদের কাছে আমরা পৌঁছে দিতে পারিনি। সেই ব্যর্থতার কষ্ট থেকে আমি এখানে এসেছি মানববন্ধনে যোগ দিতে।

ফাহাদ হত্যার গা শিউরে ওঠা সত্যতা জেনে বিবেকবান সমাজ আজ স্থম্ভিত, দুঃখিত এবং হতভম্ব। ফাহাদ হত্যায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল আন্দোলন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করছে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। এরই অংশ হিসেবে গবিতেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের এ যৌক্তিক আন্দোলনে যোগ দেন গণবির শিক্ষকমহল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মনসুর মূসা, রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মনিরুল হাসান মাসুমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রমুখ ।

এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৭ তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে। রাত ৩টার দিকে ওই হলের দোতলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আবরার ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। তার বাবা বরকত উল্লাহ একজন এনজিওকর্মী, মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দু’ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজের ছাত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।