ঢাকা, শনিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে সহকারী প্রক্টরের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীকে মারধর

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
জাবিতে সহকারী প্রক্টরের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীকে মারধর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অপসারণের দাবিতে তৃতীয় দিনের সর্বাত্মক ধর্মঘট চলাকালে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র অন্যতম নেতা ও ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আন্দোলনকারীদের পূর্ব ঘোষিত সর্বাত্মক ধর্মঘট পালনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার নজির আমিন জয় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মহিবুর রৌফ শৈবালের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনকারীরা জানান, সকাল থেকেই সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল কর্মচারীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন অনুষদে আন্দোলনকারীদের মেরে রাখা তালা অপসারণ করতে যান। এসময় পুরাতন কলা অনুষদে তালা অপসারণ করতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে নিজের বিভাগের জুনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর মারধর করেন মহিবুর রৌফ শৈবাল। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। উল্টো আন্দোলনকারীরা আমার ওপর হামলা করেছে। ’

মহিবুর রৌফ শৈবালের বরাতে সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের হামলায় শৈবাল অনেক বেশি অসুস্থ। আমাদের মেডিক্যালে চিকিৎসা হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ’

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন অনুষদ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ গিয়ে শেষ হয়।  

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘একজন সহকারী প্রক্টরের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের মারধর করা হয়েছে। তার একটা ভিডিও দেখে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। একজন শিক্ষক তার ছাত্রের কীভাবে মারধর করতে পারেন। একজন মাস্তান শিক্ষক আমরা চাই না। একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে এটা হওয়া অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্চক। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। ’

অন্যদিকে কর্তব্য পালনের সময় সহকারী প্রক্টরের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদলিপিতে তারা কর্তব্য পালন অবস্থায় সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবালের ওপর হামলার নিন্দা ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।