ঢাকা, শনিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাগেরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষকে অপসারণে আল্টিমেটাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৯
বাগেরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষকে অপসারণে আল্টিমেটাম

বাগেরহাট: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অধ্যক্ষকে অপসারণ না করলে কলেজের সব কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা হতে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকরা।

নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে  কলেজের অধ্যক্ষ ড. এস এম রফিকুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে ২য় দিনের মত বৃহস্পতিবারও (৩১ অক্টোবর) ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করে সব সমস্যার সমাধান করেছেন বলে দাবি অধ্যক্ষ ড. এস এম রফিকুল ইসলামের।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষক আছাদুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজে উদ্ভুত পরিস্থিতির পেক্ষাপটে শিক্ষক পরিষদের জরুরি সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান শিক্ষকরা।

শিক্ষক পরিষদের পক্ষে প্রভাষক বিপ্রদাস সরকার বলেন, শিক্ষক পরিষদের সভায় অধ্যক্ষ ড. এম রফিকুল ইসলামের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা জ্ঞাপন ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আছাদুজ্জামানের প্রতি কারণ দর্শানো নোটিশকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অধ্যক্ষ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্তকে শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গণিত বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক অশোক কুমার বসু অধ্যক্ষের কারণে অতিরিক্ত মানসিক চাপে মৃত্যুবরণ করেছেন। যে দায় সম্পূর্ণ অধ্যক্ষের ওপর বর্তায়। যার কারণে শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের প্রতি ঘৃণাপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে বুধবারও (৩০ অক্টোবর) একই দাবিতে ক্লাস বর্জন করে কলেজ চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কলেজে বিভিন্ন সময় উন্নয়নের টাকা বরাদ্দ এলেও অধ্যক্ষ স্যার কোনো উন্নয়ন কাজে তা ব্যয় না করে আত্মসাত করেছেন। কলেজ ক্যাম্পাসের পুকুরের মাছ ধরে নেওয়া এবং কলেজের গাছ কেটে নিজের বাসার কাজে লাগানো, কলেজের কর্মচারীদের গায়ে হাততোলাসহ আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে স্যারের বিরুদ্ধে। আমরা এ অধ্যক্ষের অপসারণ চাই। এমনকি মাস্টাররোলে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন ভাতাও তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
তারা আরও বলেন, অবিলম্বে অধ্যক্ষের অপসারণ না হলে আমরা শ্রেণিকক্ষে যাবো না। সামনে টেস্ট পরীক্ষা, ওই পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ না করার হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা।  

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিষয়ে অর্থনীতির শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমি অধ্যক্ষ স্যারের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তিনি অন্যায়ভাবে আমার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন।

অধ্যক্ষ  ড. এস. এম. রফিকুল ইসলাম বলেন , আমি শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। শনিবার থেকে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা তিলকে তাল করে উপস্থাপন করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা,  অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।