এদিকে কলেজের চলমান সংকট নিরসনে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকেছিলেন অধ্যক্ষ ড. এসএম রফিকুল ইসলাম। তবে সভায় কোনো শিক্ষক অংশগ্রহণ করেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা যেকোন মূল্যে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাই। তিনি এখানে থাকলে আমাদের পড়াশুনা হবে না। আমরা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না। রোববার যদি অধ্যক্ষ স্যার কলেজে থাকেন তাহলে আমরা তার অপসারণের দাবিতে রাজপথে মিছিল করব।
মিম, শুকরিয়া, তিথি রায়, অনন্যা ও সাদিয়াসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার আন্দোলনের পরে স্যার তার অবস্থান থেকে একটুও নড়েননি। বরং হোস্টেলের মেয়েদের আন্দোলনে আসতে দিচ্ছেন না। আন্দোলনে এলে তাদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হুমকি দিয়েছেন। এমনকি এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে অধ্যক্ষের তরফ থেকে হোস্টেলের মেয়েদের খাওয়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষ ড. এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজের চলমান সংকট নিরসনে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকেছিলাম। কোনো শিক্ষক সভায় অংশগ্রহণ করেননি। বরং সব শিক্ষকরা আমাকে না বলে কলেজের বাইরে চলে গেছেন। আমি চাই কলেজে চলমান সংকট নিরসন হোক। এজন্য ইতোমধ্যে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। রোববার থেকে যদি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে না আসেন, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ম অনুয়ায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করব।
তবে এবিষয়ে সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক সাহানুর আক্তারকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে ফোন কেটে দেন। পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এছাড়া কলেজের উপাধ্যক্ষ ঝর্ণা হালদারসহ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললে তারা কলেজের সংকটের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. এস এম রফিকুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার অপসারণ না হলে কলেজের সব কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা হতে বিরত থাকার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসএইচ