দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া সরকারের এজেন্সি হিসেবে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অ্যাডিলেডের অ্যাম্বাসেডর হওয়ার পাশাপাশি সুযোগ থাকছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী এ শহরে শিক্ষা ও লাইফস্টাইল সফরে যাওয়ার।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে প্রত্যকে শিক্ষার্থী পাবেন ৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার সমমূল্যের সাপোর্ট প্যাকেজ। যার মধ্যে থাকছে-বিমানভাড়া, থাকার খরচ এবং অ্যাডিলেডের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাডিলেডের শিক্ষা এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে সরাসরি অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ করে দেবে। অ্যাডিলেড থেকে ঘুরে আসার পর এ অ্যাম্বাসেডররা বিভিন্ন পোস্ট, ভিডিও ও ব্লগ শেয়ার করার মাধ্যমে অ্যাডিলেডের অভিজ্ঞতার কথা তাদের বন্ধু, পরিবার ও কমিউনিটিকে জানাবেন। অ্যাম্বাসেডরদের উৎসাহিত করা হবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে অ্যাডিলেডের কথা প্রচারের জন্য। অ্যাম্বাসেডর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করা হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্টাডিঅ্যাডিলেড ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর কর্মসূচি নিয়ে স্টাডিঅ্যাডিলেডের প্রধান নির্বাহী ক্যারেন কেন্ট বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী অ্যাডিলেডকে বেছে নেবেন এবং অ্যাডিলেডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবেন আমরা তাদের স্বীকৃতি দিতে চাই। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ কর্মসূচি নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং একই সঙ্গে ২০২০ সালের অ্যাম্বাসেডরদের স্বাগত জানাতে উন্মুখ। ’
বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী যারা ২০২০ সালে অ্যাডিলেডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষাজীবন শুরু করতে আগ্রহী তারা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আবেদন প্রতিক্রিয়াতে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যেমন মধ্যে থাকবে অ্যাডিলেডে পড়াশোনার জন্য কোনো বিষয়টি তাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এরপর সৃজনশীলতা, আগ্রহ এবং উদ্যমসহ বিভিন্ন মানদণ্ড অনুযায়ী বিচারকদের প্যানেল অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে বিজয়ী নির্বাচন করবেন।
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, আন্তর্জাতিক আবেদন সুবিধা, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে স্টাডিঅ্যাডিলেড ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও বেশি সম্ভাবনা দেখেছে।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক অ্যালামনাই জব নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী, অ্যাডিলেডে উচ্চশিক্ষা শেষ করে ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীই সন্তুষ্ট এবং তাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে অ্যাডিলেড।
গবেষণার প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, অ্যাডিলেডে অধ্যয়নরত ৩৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করার আগেই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করে এবং আরও ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করে। গবেষণায় আরও জানা যায়, অ্যাডিলেডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য রাজ্যের স্নাতকদের তুলনায় প্রথম চাকরিতে বেশি অর্থোপার্জন করেছে।
গবেষণার প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, অ্যাডিলেডে অধ্যয়নরত ৩৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করার আগেই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করে এবং আরও ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করে। গবেষণায় আরও জানা যায়, অ্যাডিলেডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য রাজ্যের স্নাতকদের তুলনায় প্রথম চাকরিতে বেশি অর্থোপার্জন করেছে।
অ্যাডিলেড ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর কর্মসূচিতে আবেদনের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা www.studyadelaide.com/southasia- এ ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ওএইচ/