ঢাকা, শনিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

১৬ দফা দাবিতে শাবি প্রশাসনকে আল্টিমেটাম

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
১৬ দফা দাবিতে শাবি প্রশাসনকে আল্টিমেটাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সিলেট (শাবিপ্রবি): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রশাসনকে ১৬ দফা দাবিতেআল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলোর প্রথম ছয় দফায় রয়েছে- ক্যাম্পাসে সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক পরিবেশে নিশ্চিত করা, আসন্ন তৃতীয় সমাবর্তন উপলক্ষে হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করা ও বছরের ৩৬৫ দিনই আবাসিক হলগুলো খোলা রাখা, ছেলে ও মেয়েদের হলে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য না করা, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়িয়ে দাম কমানো, টংগুলোতে খাবার বিক্রির অনুমতি দেওয়া ও দোকানগুলো খোলা রাখার ক্ষেত্রে সময় নির্ধারণ করে না দেওয়া, রাত ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা রাখা, একাডেমিক সময়সীমার পরও একাডেমিক ভবনগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু কক্ষকে রিডিংরুম হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া, সংগঠনগুলোকে ভেন্যু বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার অর্থ না নেওয়া এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ না করা।

এসব দাবি মেনে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, দ্বিতীয় ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষার খাতায় পরিচয় নির্দেশক রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের পরিবর্তে কোডিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের আনুপাতিক হারে বাসের সংখ্যা এবং বাসের রুট ও ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো, জিমনেসিয়ামের কার্যকারিতা ও প্রবেশের যৌক্তিক সময়সীমা বাড়ানো, মেডিক্যাল সেন্টারের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, লাইব্রেরিতে বইসহ রিডিংরুমে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া, প্রথম ছাত্রী হল ও একাডেমিক ভবনগুলোর যথাযথ নামফলক ব্যবহার করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন ও হলগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠগুলো ব্যবহার উপযোগী ও রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের মান উন্নয়ন ও সংস্কার করা।

এ ১০ দফা দাবি মেনে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন তৃতীয় সমাবর্তনকালীন সময়ে ও শীতকালীন ছুটিতে আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে গত বুধবার (২০ নভেম্বর) মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে তাদের মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যায়। মানববন্ধনের ‘অনুমতি’ না নেওয়ার অযুহাতে বাধা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রক্টরিয়াল বডির আচরণকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আখ্যায়িত করে পুনরায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিধি-নিষেধের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।