জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): কোভিড-১৯ ভাইরাসের টিকার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিবন্ধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নিলেও শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।
বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে করোনা টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করলেও হাতগুটিয়ে রয়েছে জবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিলো আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা হবে আর আবাসিক হলগুলো ১৭ মে খোলা হবে এবং তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। আর এই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য নিবন্ধনের আবেদন ফরম দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল আইডির মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীকে নিবন্ধনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তবে এর আগে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকার তালিকা চেয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সব শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করতে ও বিভিন্ন ভোগান্তির বিষয় গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়। পরে সব শিক্ষার্থীর তালিকা চাওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের ব্যাপারে জবি রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগগুলোতে শিক্ষার্থীদের নাম, এনআইডির তালিকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তাহলে আমি চেক করতেছি’।
এদিকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন শিক্ষার্থীদের তালিকার ব্যাপারে প্রশাসন থেকে কোনো নোটিশ বিভাগে আসেনি।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাওয়া হলে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে শিক্ষকদের তথ্যের তালিকা চাওয়া হয়েছে, আমরা সেটা দিয়েছি তবে শিক্ষার্থীদের তালিকার ব্যাপারে কোনো প্রজ্ঞাপন আসেনি।
ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মহিউদ্দিন ফরিদ বাংলানিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো তালিকা চাওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এমআরএ