ঢাকা, সোমবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রতীকী ক্লাসেই কি খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়? 

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২১
প্রতীকী ক্লাসেই কি খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়?  ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): করোনা অতিমারিতে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম। সংগত কারণে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন নানামুখী সংকটে।

কিন্তু সব কিছু সীমিত পরিসরে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত করা হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পিছিয়েছে একের পর এক।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে প্রতীকী ক্লাসের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে এ ধরনের প্রতীকী ক্লাস ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়েছে। ঢাবিতেও রাজপথে প্রতীকী ক্লাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পুরোটা সরকারের ওপর নির্ভর করবে। তবে প্রতীকী ক্লাস এক ধরনের প্রতিবাদ। এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনকারীরা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। আবার একটি অংশ করোনা সংক্রমণের মধ্যে এ দাবিকে দেখছেন নেতিবাচকভাবে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাওসিফ রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতীকী ক্লাস একটি বার্তা বহন করে। আবার সংক্রমণের মধ্যে দ্রুত হল খোলা হলে কোনো শিক্ষার্থী যদি আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের জন্য আন্দোলন শুরু হবে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল-মামুন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা মানসিক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত খুলে দেওয়া উচিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রতীকী ক্লাস একটি প্রতিবাদ হিসেবে দেখছি।
 
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রহমত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতীকী ক্লাস একটি আলোচনায় আসার কর্মসূচি। আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করতে হবে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমার বিভাগে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে প্রতিটি সেমিস্টার দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালের মধ্যে অনার্স শেষ করতে পারবেন।  

তিনি আরও বলেন, ঢাবিতে প্রতীকী ক্লাস তেমন কিছুই বয়ে আনবে না।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরের। তাদের আবাসন নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। হলে শিক্ষার্থীরা চার জনের কক্ষে ২০ জন থাকেন। সবার টিকা নিশ্চিত করে তারপর হল খুলতে হবে। আমরা আশা করছি, টিকা বা প্রতিষেধক দ্রুত উৎপাদন হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

বাংলাদেশ সময় ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২১
এসেকবি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।