ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত

ফজলে ইলাহী স্বপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত

কুড়িগ্রাম: পানির প্রবল বেগে স্রোত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গম চরাঞ্চলের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক শিক্ষার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের মুখে লেখাপড়া অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছে। স্কুলের মূল ভবনটি ব্রহ্মপূত্র গ্রাস করেছে।

ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্টিত নয়ারচর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানা প্রাচীরে ভাঙন ধরছে। হুমকির মুখে থাকা অবশিষ্ট ভবনটি নদের গর্ভে চলে গেলে নিশ্চিহৃ হয়ে যাবে চরাঞ্চলের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।  

নৌকা ছাড়া সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শিক্ষার্থীদের মনোরম পরিবেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের বিদ্যাপিঠটি ভাঙনের মুখে পড়ায় পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চরাঞ্চলের প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়টি সম্পুর্ণ ভেঙে গেলে পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি। যে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে আমরাই কোথায় যাবো আর স্কুলটি বা কোন চরে স্থাপন করা হবে, তাই আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।

মেয়ে শিক্ষার্থীরা পড়েছে আরও বিপাকে। তাদের চিন্তা স্কুল বন্ধ হলে বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়ে দেবে।  

অভিভাবক হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর ধরে এই এলাকায় ভাঙন অব্যাহত থাকায় অনেক পরিবার গৃহহীন হয়েছে।  
বর্তমানে বাজারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ভাঙনের মুখে রয়েছে।  

দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন নয়ারচর ইউনিয়নে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নতুন ভবন নির্মাণ হয় ২০১৫ সালে। ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলের ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। চরের অনেক অশিক্ষিত পরিবার স্বপ্ন দেখে সন্তানদের লেখাপড়া করিয়ে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার। কিন্তু ব্রহ্মপূত্র নদের তীব্র ভাঙনের ফলে এবার প্রতিষ্ঠানের একমাত্র ভবনটিও হুমকির মুখে পড়েছে।  

চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হানিফা বাংলানিউজকে জানান, প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত নিয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এটি আর রক্ষা করা যাবে না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, আমরা গত দুই বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষার চেষ্টা করছি। এই গ্রামটিই ছিল একসময়ে ব্রহ্মপূত্রের মূল চ্যানেল। নদী আবার সাবেক অবস্থায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে। এখন সরজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
এফইএস/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।