ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

পর্তুগালে ‘বৈজ্ঞানিক পুরস্কার’ পেলেন বাংলাদেশি অধ্যাপক

সমীর দেবনাথ,  পর্তুগাল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
পর্তুগালে ‘বৈজ্ঞানিক পুরস্কার’ পেলেন বাংলাদেশি অধ্যাপক

বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করতে পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি ‘বৈজ্ঞানিক পুরস্কার ২০২২’ ঘোষণা করেছে। এবারের বৈজ্ঞানিক পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এম সোহেল মুর্শেদ।

 

লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট সুপারিয়র টেকনিকো (আইএসটি) শাখার ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, নাভাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অ্যারোস্পেস (এয়ারক্রাফট) ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেন। প্রকৌশলের এই তিনটি ক্ষেত্রে বহুসংখ্যক অধ্যাপক ও গবেষকদের মধ্যে তিনিই একমাত্র এই পুরস্কার পান।

সোহেল মুর্শেদের অসামান্য গবেষণা এবং অবদানের জন্য বর্তমানে তিনি পুরো ডিপার্টমেন্ট এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশংসায় ভাসছেন। পাশাপাশি শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর থেকে বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডিপ্লোমা অফ অনার এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ জানান, তিনি বিশ্বের শীর্ষ শতকরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে টানা তৃতীয় বছর আবারও স্থান করে নিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং রচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোস্ট ডক্টরাল ফলো হিসেবেও কাজ করেছেন।

সোহেল মুর্শেদের দেশের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল জেলায়। তিনি নড়াইলের মাইজপারা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, রুয়েট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বুয়েট থেকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যাকানিক্যাল ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।