ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নতুন ভোটার: সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
নতুন ভোটার: সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন

ঢাকা: চলমান ভোটার তালিকা হালানাগাদে নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন। আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা।

এক্ষেত্রে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে তা সংশোধনের জন্য আপত্তি জানানোর সুযোগ থাকছে ১৬ দিন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে সংশোধনের জন্য সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সংশোধনের জন্য কোনো আবেদন বা আপত্তি পাওয়ার পর তা নিষ্পত্তি করবেন

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত চিঠি মাঠপর্যায়ের সব সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জানুয়ারি, যা বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হবে, যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদ করা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।

দাবি, আপত্তি ও সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি উপজেলা/থানার ভোটার এলাকার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশন ও ফ্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কতিপয় বিশেষ এলাকার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ (রিভাইজিং অথরিটি) নিয়োগ করা হয়েছে।

চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যাক্রমে ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ জন নাগরিক নিবন্ধন কার্যাক্রম সম্পন্ন করেছেন। এদের মধ্যে হিজড়া ২৫১ জন, নারী ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩ জন এবং পুরুষ ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭১৬।

চলতি বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। এবারও গতবারের মতো তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। এদের মধ্যে যাদের বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন তারা স্বয়ংক্রিভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। অর্থাৎ নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের মধ্যে যখন যার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।

এবারের হালনাগাদ কার্যাক্রমের জন্য ব্যয ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগের বারে চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে পাঁচবার।

২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যাক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

বর্তমানে ভোট আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষটির তথ্য ভাণ্ডারে মোট ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটারের তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন। হিজড়া ভোটার আছে ৪৫৪ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ