ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

বগুড়া: গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিশাদ বলেন, ‘আগামী ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। তাছাড়া স্থানীয় জনগণও ভোটকেন্দ্রে যাবে না। এসব কারণে আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলাম। ’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গত ১২ অক্টোবর এই আসনের উপনির্বাচনে অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হওয়া সত্ত্বেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে ভবিষ্যতে তাদের পেনশন পেতে সমস্যা হবে। এলাকার সন্তান হিসেবে এটা আমাকে পীড়া দেয়। ’

নিশাদ বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সাধারণ ভোটাররাও ক্ষুব্ধ। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, সাধারণ মানুষ এবার ভোট দিতে আসবে না। খুব বেশি হলে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে। ’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেটা গত ১২ অক্টোবরে করতে পারেনি। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে উপহাস করেছে কমিশন। বিশেষ এক প্রার্থীর কর্মী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জোর-জবরদস্তি, হুমকি-ধামকি ও মারপিট করেছে। সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজেরাই ভোট দিয়েছে। আমার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের ওপর আক্রমণসহ নানা অপকর্মের সাক্ষী হয়েছে সাঘাটা-ফুলছড়িবাসী। চিহ্নিত ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। সুতরাং কমিশন ফের ভোটের তফসিল ঘোষণা করে আবার প্রহসন করতে চাচ্ছে। আমি আমার জামানতের টাকা ফেরত পাওয়ারও দাবি করছি। ’

গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি গত ২৩ জুলাই মারা যান। পরে ১২ অক্টোবর আসনটিতে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা মনোনীত এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের দিন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ভোট বন্ধ করে দেয় কমিশন। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে নির্বাচন কমিশন। তদন্তে ১২৬ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ১৩৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১ ডিসেম্বর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নাহিদুজ্জামান নিশাদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার সাঘাটা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, জুমারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তম আলী আকন্দ ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম মুকুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
কেইউএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।